লেখা-লেখি

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস বনাম শহীদ দিবস

২:০০:০০ PM 0 Comments

















            একুশে ফেব্রুয়ারি
------------------------------------------
© সুনীতি দেবনাথ

একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস তথা শহীদ দিবস। বাংলাভাষা সারাটি বিশ্বের একমাত্র ভাষা, গৌরবের ভাষা যা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার শিরোপার অধিকারী। এ ভাষা বাঙালির আত্মা ও শ্রেষ্ঠ গর্ব। ' আ মরি বাংলাভাষা '!
    ‘বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে নিকোনো উঠোনে ঝরে রৌদ্র, বারান্দায় জাগে জ্যোৎস্নার চন্দন ! বাংলা ভাষা উচ্চারিত হলে অন্ধ বাউলের একতারা বাজে উদার গৈরিক মাঠে । খোলা পথে, উত্তাল নদীর বাঁকে বাঁকে নদীও নর্তকী হয়’ ।
বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল দিন একুশে ফেব্রুয়ারি। আলোকোজ্জ্বল নীলাকাশের অবারিত রৌদ্র অঝোরে ঝরে পড়ে বাংলার ' নদী জপমালা ধৃত প্রান্তর'- এ হিল্লোলিত সবুজের আন্দোলনে। জ্যোৎস্নাস্নাত অঙ্গনে বাংলা ভাষার মধুরিমা আলগোছে স্বপ্নের কথামালা রচনা করে যেতো। এমনি বাংলাদেশ, এমনি মাধুর্যমাখা বাংলাভাষা। ১৯৪৭ সালে দেশবিভাজনের পর পূর্ববাংলা পাকিস্তানের অধীনে গেল। পাকিস্তান জবরদস্তির রাজনীতিতে উর্দু ভাষাকে পূর্ববঙ্গেরও রাষ্ট্রভাষা করতে চাইলো। নিখিল বাঙালির আত্মার চেতনা বিক্ষোভেল ধিকিধিকি জ্বলতে শুরু করলো ১৯৪৭ সালের নভেম্বর ডিসেম্বর মাস থেকে। ক্রমে এই আত্মার আগুন ১৯৪৮ সালের মার্চে একটা আন্দোলনের পরিসীমায় বিস্তৃতি লাভ শুরু করে। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি ভয়ঙ্কর আকারে সে আন্দোলন বাংলার মাটিতে রক্তের হোলিখেলা শুরু করলো। বাংলার শিক্ষাঙ্গনে অঙ্কিত হল রক্তের আলিম্পন। সেদিনই বাংলার যুবসমাজ দেখালো মাতৃভাষার মূল্যের কাছে প্রাণ কত তুচ্ছ।
   সেই একুশে ফেব্রুয়ারি সকালবেলা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ছাত্রেরা ১৪৪ ধারা অমান্য করে রাজপথে বেরিয়ে এলো নির্ভীক চিত্তে। নিষ্ঠুরতার চরম পর্যায়ে গিয়ে  পুলিশবাহিনী ছাত্রদের উপর গুলি বর্ষণ শুরু করে। কী কলঙ্কময় এই ইতিহাস। পরিণতিতে একে একে রক্তাক্ত দেহে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো আবুল বরকত, আবদুল জব্বার, আবদুস সাত্তারের নিষ্প্রাণ দেহ। তাঁদের  সহ আরো ক 'জন ছাত্রযুবা হতাহত হলেন। এই নিষ্ঠুর  ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের হোস্টেলে প্রতিবাদী ঢাকার জনতা সমবেত হলেন। অসহনীয় নানা  নির্যাতন হলেও ছাত্রদের সঙ্গে  সাধারণ জনতা  প্রতিবাদ জানাতে পরদিন ২২ ফেব্রুয়ারি আবার  রাজপথে নেমে এলেন । তাঁরা মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে শহীদদের জন্য অনুষ্ঠিত গায়েবি জানাজায় অংশগ্রহণ করলেন। ভাষাশহীদদের স্মৃতিকে অমর করে রাখার জন্য ২৩ ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে মেডিকেল কলেজ হোস্টেল প্রাঙ্গণে গড়ে ওঠে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, যা সরকার ২৬ ফেব্রুয়ারি গুঁড়িয়ে দেয়। একুশে ফেব্রুয়ারির এই ঘটনায় আরও তীব্রতর হলো ভাষা আন্দোলন । ১৯৫৪ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট জয়লাভ করলে ৯ মে অনুষ্ঠিত গণপরিষদের অধিবেশনে বাংলাভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
তখন থেকে প্রতি বছর এ দিনটি জাতীয় ‘শোক দিবস’ তথা 'শহীদ দিবস ' হিসেবে পালিত হয়ে  আসছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনায় একুশে  ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা এক মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতি এবং পরে একাধিক্রমে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষকবৃন্দ, ঢাকাস্থিত বিভিন্ন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, নানা প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের ব্যক্তিবৃন্দ, সাধারণ জনগণ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। আর এসময়  করুণ সুরে বাজতে থাকে " আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি / আমি কি ভুলিতে পারি " গানটি।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর একুশে ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষিত হয়। এদিন শহীদ দিবসের তাৎপর্য তুলে রেডিওএইচএস টেলিভিশন এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো বিভিন্ন অণুষ্ঠানের আয়োজন করে। দেশের সংবাদপত্রগুলিও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।

১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি যে চেতনায় উদ্দীপিত হয়ে বাঙালিরা রক্ত দিয়ে মাতৃভাষাকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল, আজ তা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে স্বীকৃতি লাভ করেছে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি:সম্পাদনা

কানাডার ভ্যাঙ্কুবার শহরে বসবাসরত দুই বাঙালি রফিকুল ইসলাম এবং আবদুস সালাম প্রাথমিক উদ্যোক্তা হিসেবে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণার আবেদন জানিয়েছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব কোফি আন্নানের কাছে ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস  অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি রাষ্ট্রসংঘের  সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে।২০১০ সালের
২১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের ৬৫তম অধিবেশনে এখন থেকে প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করবে জাতিসংঘ এই সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাস হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের প্রস্তাবটি সাধারণ পরিষদের ৬৫তম অধিবেশনে উত্থাপন করে ১১৩ সদস্যবিশিষ্ট জাতিসংঘের তথ্যবিষয়ক কমিটিতে বাংলাদেশ। প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়।
    একুশে ফেব্রুয়ারির রোদনভরা স্মৃতি নিয়ে প্রথম যে কবিতা  রচিত হয়, তা উদ্ধৃত করে বর্তমান আলোচনা সমাপ্ত করা হবে।আন্তর্জাতিক  মাতৃভাষা দিবস পালন করার বিশেষ তাৎপর্য হলো বাংলা ভূখণ্ডে মাতৃভাষার অধিকার প্রাপ্তির জন্য আত্ম চেতনাশীল যে জনগোষ্ঠী জীবনপণ সংগ্রাম করেছেন, আত্মাহুতি দিয়েছেন তা সমগ্র বিশ্বে আদর্শ ঘটনা। মাতৃভাষা মায়ের মত মানুষের চেতনাকে পরিশীলিত করে, সংস্কৃতিবান আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে। সর্বোপরি নিজ মাতৃভাষার পাশাপাশি অন্যের মাতৃভাষাকে শ্রদ্ধা করতে শেখায়। এতে সহযোগিতা ও সহমর্মিতার বাতাবরণে পৃথিবীর সংস্কৃতি, শান্তি ও মানবিকতা
সুরক্ষিত হবে।আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনে নিজ সংস্কৃতি ও বহুভাষাবাদের জনজাগরণ ঘটবে
আর মাতৃভাষা শহীদদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হবে। নিজের মাতৃভাষার প্রতি যে মমত্ববোধ ও শ্রদ্ধা অন্তরে আছে, এই দিবস পালনের মাধ্যমে তা অপরের মাতৃভাষার প্রতি সঞ্চারিত হবে। এতে ছোট ছোট গোষ্ঠীর মাতৃভাষাও আত্ম সম্প্রসারণের আস্থা খুঁজে পাবে।

অমর একুশে ফেব্রুয়ারী উপলক্ষে একুশের প্রথম কবিতা
-------------------------------------------------------------------------------

কবি মাহবুবুল আলম চৌধুরী রচিত একুশের প্রথম কবিতাঃ
----------------------------------------------------------------------------------

'আজ আমি এখানে কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবী নিয়ে এসেছি...'

ওরা চল্লিশজন কিংবা আরো বেশি
যারা প্রাণ দিয়েছে ওখানে—রমনার রৌদ্রদগ্ধ কৃষ্ণচূড়ার গাছের তলায়
ভাষার জন্য, মাতৃভাষার জন্য—বাংলার জন্য।
যারা প্রাণ দিয়েছে ওখানে
একটি দেশের মহান সংস্কৃতির মর্যাদার জন্য
আলাওলের ঐতিহ্য
কায়কোবাদ, রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলের
সাহিত্য ও কবিতার জন্য
যারা প্রাণ দিয়েছে ওখানে
পলাশপুরের মকবুল আহমদের
পুঁথির জন্য
রমেশ শীলের গাথার জন্য,
জসীমউদ্দীনের ‘সোজন বাদিয়ার ঘাটের’ জন্য।
যারা প্রাণ দিয়েছে
ভাটিয়ালি, বাউল, কীর্তন, গজল
নজরুলের “খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি
আমার দেশের মাটি।”
এ দুটি লাইনের জন্য
দেশের মাটির জন্য,
রমনার মাঠের সেই মাটিতে
কৃষ্ণচূড়ার অসংখ্য ঝরা পাপড়ির মতো
চল্লিশটি তাজা প্রাণ আর
অঙ্কুরিত বীজের খোসার মধ্যে
আমি দেখতে পাচ্ছি তাদের অসংখ্য বুকের রক্ত।
রামেশ্বর, আবদুস সালামের কচি বুকের রক্ত
বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে সেরা কোনো ছেলের বুকের রক্ত।
আমি দেখতে পাচ্ছি তাদের প্রতিটি রক্তকণা
রমনার সবুজ ঘাসের উপর
আগুনের মতো জ্বলছে, জ্বলছে আর জ্বলছে।
এক একটি হীরের টুকরোর মতো
বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছেলে চল্লিশটি রত্ন
বেঁচে থাকলে যারা হতো
পাকিস্তানের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ
যাদের মধ্যে লিংকন, রকফেলার,
আরাগঁ, আইনস্টাইন আশ্রয় পেয়েছিল
যাদের মধ্যে আশ্রয় পেয়েছিল
শতাব্দীর সভ্যতার
সবচেয়ে প্রগতিশীল কয়েকটি মতবাদ,
সেই চল্লিশটি রত্ন যেখানে প্রাণ দিয়েছে
আমরা সেখানে কাঁদতে আসিনি।
যারা গুলি ভরতি রাইফেল নিয়ে এসেছিল ওখানে
যারা এসেছিল নির্দয়ভাবে হত্যা করার আদেশ নিয়ে
আমরা তাদের কাছে
ভাষার জন্য আবেদন জানাতেও আসিনি আজ।
আমরা এসেছি খুনি জালিমের ফাঁসির দাবি নিয়ে।

আমরা জানি ওদের হত্যা করা হয়েছে
নির্দয়ভাবে ওদের গুলি করা হয়েছে
ওদের কারো নাম তোমারই মতো ওসমান
কারো বাবা তোমারই বাবার মতো
হয়তো কেরানি, কিংবা পূর্ব বাংলার
নিভৃত কোনো গাঁয়ে কারো বাবা
মাটির বুক থেকে সোনা ফলায়
হয়তো কারো বাবা কোনো
সরকারি চাকুরে।
তোমারই আমারই মতো
যারা হয়তো আজকেও বেঁচে থাকতে
পারতো,
আমারই মতো তাদের কোনো একজনের
হয়তো বিয়ের দিনটি পর্যন্ত ধার্য হয়ে গিয়েছিল,
তোমারই মতো তাদের কোনো একজন হয়তো
মায়ের সদ্যপ্রাপ্ত চিঠিখানা এসে পড়বার আশায়
টেবিলে রেখে মিছিলে যোগ দিতে গিয়েছিল।
এমন এক একটি মূর্তিমান স্বপ্নকে বুকে চেপে
জালিমের গুলিতে যারা প্রাণ দিল
সেই সব মৃতদের নামে
আমি ফাঁসি দাবি করছি।

যারা আমার মাতৃভাষাকে নির্বাসন দিতে চেয়েছে তাদের জন্যে
আমি ফাঁসি দাবি করছি
যাদের আদেশে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে তাদের জন্যে
ফাঁসি দাবি করছি
যারা এই মৃতদেহের উপর দিয়ে
ক্ষমতার আসনে আরোহণ করেছে
সেই বিশ্বাসঘাতকদের জন্যে।
আমি তাদের বিচার দেখতে চাই।
খোলা ময়দানে সেই নির্দিষ্ট জায়গাতে
শাস্তিপ্রাপ্তদের গুলিবিদ্ধ অবস্থায়
আমার দেশের মানুষ দেখতে চায়।

পাকিস্তানের প্রথম শহীদ
এই চল্লিশটি রত্ন,
দেশের চল্লিশ জন সেরা ছেলে
মা, বাবা, নতুন বৌ, আর ছেলে মেয়ে নিয়ে
এই পৃথিবীর কোলে এক একটি
সংসার গড়ে তোলা যাদের
স্বপ্ন ছিল
যাদের স্বপ্ন ছিল আইনস্টাইনের বৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে
আরো গভীরভাবে বিশ্লেষণ করার,
যাদের স্বপ্ন ছিল আণবিক শক্তিকে
কী ভাবে মানুষের কাজে লাগানো যায়
তার সাধনা করার,

যাদের স্বপ্ন ছিল রবীন্দ্রনাথের
‘বাঁশিওয়ালার’ চেয়েও সুন্দর
একটি কবিতা রচনা করার,
সেই সব শহীদ ভাইয়েরা আমার
যেখানে তোমরা প্রাণ দিয়েছ
সেখানে হাজার বছর পরেও
সেই মাটি থেকে তোমাদের রক্তাক্ত চিহ্ন
মুছে দিতে পারবে না সভ্যতার কোনো পদক্ষেপ।

যদিও অগণন অস্পষ্ট স্বর নিস্তব্ধতাকে ভঙ্গ করবে
তবুও বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ঘণ্টা ধ্বনি
প্রতিদিন তোমাদের ঐতিহাসিক মৃত্যুক্ষণ
ঘোষণা করবে।
যদিও ঝঞ্ঝা-বৃষ্টিপাতে—বিশ্ববিদ্যালয়ের
ভিত্তি পর্যন্ত নাড়িয়ে দিতে পারে
তবু তোমাদের শহীদ নামের ঔজ্জ্বল্য
কিছুতেই মুছে যাবে না।

খুনি জালিমের নিপীড়নকারী কঠিন হাত
কোনো দিনও চেপে দিতে পারবে না
তোমাদের সেই লক্ষদিনের আশাকে,
যেদিন আমরা লড়াই করে জিতে নেব
ন্যায়-নীতির দিন
হে আমার মৃত ভাইরা,
সেই দিন নিস্তব্ধতার মধ্য থেকে
তোমাদের কণ্ঠস্বর
স্বাধীনতার বলিষ্ঠ চিৎকারে
ভেসে আসবে
সেই দিন আমার দেশের জনতা
খুনি জালিমকে ফাঁসির কাষ্ঠে
ঝুলাবেই ঝুলাবে
তোমাদের আশা অগ্নিশিখার মতো জ্বলবে
প্রতিশোধ এবং বিজয়ের আনন্দে।

ত্রিপুরা, ভারত।
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭

SUNITI Debnath

আমি সুনীতি দেবনাথ, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি শিক্ষিকা। কবিতা, প্রবন্ধ ও ছোটগল্প লিখি। কবিতা আমার প্রিয়ভূমি, শৈশব থেকেই হেঁটে চলেছি...

0 comments: