এই জীবন এই দাহ ও দ্রোহ
© সুনীতি দেবনাথ
সড়কটা ধরে পিঁপড়ে পায়ে পিলপিল ঢল
মানুষের মত চেহারার ঢল উদয়াস্ত
ম্লানছবি বোবা চোখ মুখ উদ্দেশ্যহীন যাত্রা
যেন রিমোট কন্ট্রোলে চালিত যন্ত্র মানবের প্রাণহীন আত্মার আবেগহীন নিয়ন্ত্রিত চলা।
প্রাণের রক্তের নির্যাস নিঙড়িয়ে পৃথিবীর সম্পদের প্রাচুর্য়ের যোগনের বরাত জন্মসূত্রে
প্রাপ্ত তাই অবিরাম দ্রোহহীন ক্লান্তিহীন যাত্রা ।
সড়কটার আদি অন্ত কোথায় সেই জটিল কুটিল অঙ্ক কষবার অবসর নেই, প্রয়োজনই বা কি? কেন যে ভয়াল কাজের চাকায় পিষে চূর্ণ. হওয়া তাও তো অজানা - জানা শুধু পৃথিবীর
বেশীর ভাগ মানুযই স্বগোত্র, বাকি ক ' জনা
অলৌকিক জগৎ থেকে আসা পূজনীয়
নমস্য দেবতা ।
সিংহাসন নিয়ে কাড়াকাড়ি, উত্তরাধিকারের
বীভৎস প্রতিযোগিতা, যুদ্ধ ও রক্তপাত
বহুকাল থেকে চলে আসা ন্যায্য বিষয় আশয়। তাই ওসবের জন্য লালচোখের দাপানি গর্জমান কম্বুকণ্ঠের নিনাদ দিনরাত
রাতদিন প্রতিদিন প্রতিটি দিন চলতে থাকে
এবং চলতেই থাকবে সেতো বেঁচে থাকার মত
একেবারে খাঁটি কথা মোদ্দা কথা স্বতোসিদ্ধ।
বলো ওসবে ওদের যায়ই বা কি
আসলেই বা কোন মহাস্বর্গ?
বান এলে ওরাই তো বানভাসি
আর ঐ ওঁনারা? বেহেস্তবাসী।
একেবারে সরল মানসাঙ্ক —
তাই কে এলো কে গেলো জানাটা
নেহাতই অপ্রয়োজনীয়।
মূল্যবান হচ্ছে সেটা জানা ঐ যে সড়ক
এর শেষ কোথায়? আর গন্তব্যের শেষটাই
সে কোথায়? সেকি কোন দোজখের গাড্ডায়? রাম কিংবা রাবণ যেই রাজা হোক —
জলজ্যান্ত এই সড়ক সফর তো একেবারেই
একান্ত নিজের। বিকল্প? জানা নেই। তবে
একটা কিছু আছে বলে আভাস ইঙ্গিত মেলে।
জন্ম থেকে মৃত্যু প্রসারিত অনন্ত সফর
এর নাম জীবন নিশ্চিত এর অর্থ বিষম যন্ত্রণা।
নাকি দ্রোহকাল?
কাজরী,
জুন, ২০১৪
0 comments: