একগুচ্ছ কবিতা
© সুনীতি দেবনাথ
এক
একটি একটি শব্দ আগে পিছে উপর নিচে নেচে নেচে
গড়ে তুলে তোমার শরীর ঝুমুর তালে নেচে ওঠার শরীর
নাচের ঘূর্ণনে অনবদ্য এক সুর অর্ফিয়ুসের কণ্ঠ থেকে ঝরে
অঝোরে ছলছলিয়ে হয়ে ওঠে অশ্রুতপূর্ব এক কবিতা।
দুই
কবিতা লেখা যেন শৈশবের এক্কাদোক্কা খেলা
তাল তমালের আলোছায়ায় মগ্ন নিবিড় ঘুম
হঠাৎ বৃষ্টি এলোমেলো আকাশ ঝরে পড়া
মেঘবিকেলে আলোর ঝিলিক পাখির ডানা ছোঁয়া।
তিন
কবিতার জানালায় মুগ্ধ আকাশ দেখেই চলি
আকাশের অলিন্দে দেখি বিচিত্র বিশ্বের পটচিত্র
বিশ্বের দরোজায় দাঁড়িয়ে আছে আমার স্বদেশ
অশ্রুনদীর একাকী উপকূলে চোখের জলে ভেসে।
চার
কবিতা যখন খরশান হয় ঝকঝকে হাতিয়ার
দেশের দশের শত্রুরা তখন পিছু পা হটে নিশ্চয়
কবিতা যখন মৃদুল মধুর কোমলতায় টৈটম্বুর
মানুষের জন্য মানুষের ভালবাসা উত্তাল হয়ে ওঠে।
পাঁচ
তরঙ্গরে অতল সমুদ্রের কূল কিনার হীন তরঙ্গ
উত্তাল ঢেউরে সবুজ অরণ্যের উথাল পাথাল ঢেউ
বালিয়াড়ি ফুলে ফেঁপে ঘূর্ণি ঝড়রে পাগল করিলি
আয় কবিতা রুদ্র রূপে চূর্ণ চূর্ণ কর আজ আমারে।
কাজরী,
১৫ ডিসেম্বর, ২০১৬
0 comments: