বরিষ ধরামাঝে শান্তির বারি ...
আজ তেমনি এক বাইশে শ্রাবণ। এমনি বৃষ্টি ঝরো ঝরো দিনে তিনি চলে গিয়েছিলেন। তাঁর মহাপ্রয়াণ শুধুমাত্র বাঙালি নয় সারা বিশ্ববাসীর অন্তরে গভীর বেদনার মত মিশেছিল। তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সত্য কথা বলতে গেলে বলতে হয় তাঁর মত বিশাল ব্যক্তিত্ব ভারতবর্ষে আর জন্মাননি। তাঁর মৃত্যুর পর মরদেহ অনুগমনে হাজারো বেদনাহত জনগণের শোকযাত্রা সংখ্যায় ঐতিহাসিক হয়েছিল। হাজারো কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল সেই সঙ্গীতটি, যা তাঁর মৃত্যুর পর গাওয়া হোক এমন মৃদু ইচ্ছে কোনও একসময় তিনি প্রকাশ করেছিলেন। আজ তাঁর মৃত্যুর বহুদিন পরও তাঁর ভাবনা জগতের, কবি মনের বিশ্লেষণ, জীবনের, যাপনের আলোচনা - গবেষণা চলছে। দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় রবীন্দ্র বিদূষণও কম হচ্ছে না। তবে প্রতিষ্ঠা পাবার মত তথ্য বিদূষণকারীরা আজো দিতে পারেননি! আমরা ভুলে যাই কবির কাছ থেকে আমরা " যা পেয়েছি তুলনা তার নাই "। আজ মৃত্যুদিবসে বলবো, " আমার মাথা নত করে দাওহে তোমার চরণধুলার পরে ...." জাগ্রত রহ চিত্তে চিরসখা চিরকাল। রবীন্দ্রনাথের মত বন্ধুকে বলবো, " চিরসখা হে ছেড়োনা আমায় ছেড়োনা ...!"
বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি
শুষ্ক হৃদয় লয়ে আছে দাঁড়াইয়ে
ঊর্ধ্বমুখে নরনারী ॥
না থাকে অন্ধকার, না থাকে মোহপাপ,
না থাকে শোকপরিতাপ।
হৃদয় বিমল হোক, প্রাণ সবল হোক,
বিঘ্ন দাও অপসারি ॥
কেন এ হিংসাদ্বেষ, কেন এ ছদ্মবেশ,
কেন এ মান-অভিমান।
বিতর' বিতর' প্রেম পাষাণহৃদয়ে,
জয় জয় হোক তোমারি ॥
রাগ: ভৈরবী
তাল: ত্রিতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1290
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1884
0 comments: