গণ্ডিরেখা
© সুনীতি দেবনাথ
কে জানিনা এঁকে দিয়েছে একটা গণ্ডিরেখা
উদ্দেশ্য বিধেয় না বুঝে এরই মাঝে ঘুরছি
ঘুরেই চলেছি জন্ম থেকে সমানে হয়তো
আমৃত্যু ঘুরেই চলবো না থেমে সারাকাল।
মাঝে মাঝে মনে হয় সামান্য সাহসী হই
গণ্ডির সীমানা পেরিয়ে ছুটে চলি না হয়
দেখে ফেলুক শেষ রাতের ঝিমোনো নক্ষত্র,
রাত জাগা লক্ষ্মীপেঁচাটি অশত্থের গাছের
ঝোপ ঝোপ ঝিম ধরা পাতার ফোকর দিয়ে।
কিন্তু যাবো কোথা সেও তো জানি না!
কিছু কিছু যারা সামান্য সাহসী হয়েছিল
বিশাল এক জাবদা হালখাতায় তাদের ছবি
বহুদূর আকাশের নক্ষত্রের নির্যাসজ্যোতি দিয়ে
এঁকে রাখা হয়েছিল আর তাদের নাম স্পষ্ট আখরে
শুকতারার স্পষ্ট নরম আলোয় লেখা হয়েছিল।
অরুন্ধতী বিশাখা স্বাতীর মতরা আকাশলীনা হলো
কেউ কেউ সে তো বহু দিন বহু পুরনো দিন আগে।
গণ্ডিরেখা পার হয়ে সীতার দশা নয়তো অজানা নয় কারও,
তবু পার হতে হয় নয়তো সময় থমকে দাঁড়ায়
নয়তো জীবন ব্যর্থ গ্লানির আবর্জনা স্তুপ হয়।
গণ্ডিরেখার আবর্তে আবর্তিত জীবনের সীমানা কোনও না কোনদিন পার হতেই হয় জেনে গেছি
বেদনায় মথিত হলেও, ঝড়ের তাণ্ডবে ধ্বস্ত হলেও।
কাজরী,
২৩ আগস্ট, ২০১৬
0 comments: