এক সৈনিককে মনে রেখে
এক সৈনিককে মনে রেখে
© সুনীতি দেবনাথ
জীবনটাকে মনে হয় যেন
একটা মাসরুম স্বল্প এক পরিসরে
লোভের শিকার হয়ে আবির্ভূত হতে
একে কেটেকুটে মশল্লাদার বানিয়ে
চেটেপুটে খাবার জন্য ওৎ পেতে
শকুনের মত আছে কেউ কিছু লোক।
এ জীবনটাই বাজি রেখে অন্য কেউ
মাটির পিদিম জ্বেলে সব ঘরে জমে থাকা
শতাব্দী প্রাচীন গাঢ়তম অন্ধকার
সব মনে জমাট পাথুরে কুটিল
আত্মক্ষয়ী আবর্জনা আচার বিচারের স্তুুপ
এসবের বিনাশের অক্লান্ত সৈনিক এক আশ্চর্য প্রাণ সারাটি বেলা যুদ্ধ চালালেন।
তাই গাঁটে থাকা প্রাণটাকেই দিতে হলো। এভাবে কেউ কেউ. দেউলিয়া হয়
আর দিয়ে যায় শুধু ।
নির্মম নিষ্ঠুর ঘাতক ঝাঁঝরা করলো
সেই সকালে গুলিতে গুলিতে ।
সেদিন কান্নায় উথাল হলো স্বাধীনতা
এ কেমন স্বাধীনতা শেকল ঝনঝন
সত্যমূর্তি প্রাণের স্ফুর্তির অধিষ্ঠান
সে কোথায়. তার? ঝড় উঠল
বিতর্ক ক্রোধ সুনামি বেগে ক্ষেপে গেল
কিন্তু কয়দিন কতটা কাল?
সত্য হলো আমাদের চামড়া
অবিশ্বাস্য হলেও শুয়োর গণ্ডারের
চেয়েও মোটা তাই হাজার চাবুক
সয়ে যায় হে হে হাসতে বেহায়া নির্লজ্জ
চেতনায় জাগরণের কথা ওতো তত্ত্ব কথা।
কস্মিনকালেও চেতনায় শান দেয়া হবেনা
ঘাতকের গুলির প্রবল অন্যায় সব সত্যকে গ্রাস করে আত্মাকে বিকল করে
তাই সৈনিক দাভোলকর গুলিতে ঝাঁঝরা।
আমার স্বদেশে স্বপ্নের মাটিতে
লুণ্ঠিত স্বাধীন দেশে গুলিবিদ্ধ সৈনিক স্বদেহের রক্তধারার আবহের মাঝে
রক্ত স্নাত হয়ে শুয়ে পড়েন।
মৃত্তিকা আমার জন্মভূমির আর কত
রক্ত শুষে নেবে কত আর ঝরাবে খুন
অবিনাশী সব প্রাণ প্রতিকারহীন
বিচারহীন পাশবিকতার জঘন্য পায়ে?
© সুনীতি দেবনাথ
জীবনটাকে মনে হয় যেন
একটা মাসরুম স্বল্প এক পরিসরে
লোভের শিকার হয়ে আবির্ভূত হতে
একে কেটেকুটে মশল্লাদার বানিয়ে
চেটেপুটে খাবার জন্য ওৎ পেতে
শকুনের মত আছে কেউ কিছু লোক।
এ জীবনটাই বাজি রেখে অন্য কেউ
মাটির পিদিম জ্বেলে সব ঘরে জমে থাকা
শতাব্দী প্রাচীন গাঢ়তম অন্ধকার
সব মনে জমাট পাথুরে কুটিল
আত্মক্ষয়ী আবর্জনা আচার বিচারের স্তুুপ
এসবের বিনাশের অক্লান্ত সৈনিক এক আশ্চর্য প্রাণ সারাটি বেলা যুদ্ধ চালালেন।
তাই গাঁটে থাকা প্রাণটাকেই দিতে হলো। এভাবে কেউ কেউ. দেউলিয়া হয়
আর দিয়ে যায় শুধু ।
নির্মম নিষ্ঠুর ঘাতক ঝাঁঝরা করলো
সেই সকালে গুলিতে গুলিতে ।
সেদিন কান্নায় উথাল হলো স্বাধীনতা
এ কেমন স্বাধীনতা শেকল ঝনঝন
সত্যমূর্তি প্রাণের স্ফুর্তির অধিষ্ঠান
সে কোথায়. তার? ঝড় উঠল
বিতর্ক ক্রোধ সুনামি বেগে ক্ষেপে গেল
কিন্তু কয়দিন কতটা কাল?
সত্য হলো আমাদের চামড়া
অবিশ্বাস্য হলেও শুয়োর গণ্ডারের
চেয়েও মোটা তাই হাজার চাবুক
সয়ে যায় হে হে হাসতে বেহায়া নির্লজ্জ
চেতনায় জাগরণের কথা ওতো তত্ত্ব কথা।
কস্মিনকালেও চেতনায় শান দেয়া হবেনা
ঘাতকের গুলির প্রবল অন্যায় সব সত্যকে গ্রাস করে আত্মাকে বিকল করে
তাই সৈনিক দাভোলকর গুলিতে ঝাঁঝরা।
আমার স্বদেশে স্বপ্নের মাটিতে
লুণ্ঠিত স্বাধীন দেশে গুলিবিদ্ধ সৈনিক স্বদেহের রক্তধারার আবহের মাঝে
রক্ত স্নাত হয়ে শুয়ে পড়েন।
মৃত্তিকা আমার জন্মভূমির আর কত
রক্ত শুষে নেবে কত আর ঝরাবে খুন
অবিনাশী সব প্রাণ প্রতিকারহীন
বিচারহীন পাশবিকতার জঘন্য পায়ে?
0 comments: