কবি
© সুনীতি দেবনাথ
কবি দাঁড়িয়েছিলেন বৃক্ষহীন প্রান্তরে
এই পথে দেহাতী যুবতী এবেলা বেরিয়ে
ওবেলা ফেরে এক কলস ঘোলাটে জল নিয়ে
আর্সেনিক আছে কি নেই সে হিসেব কে করে —
জল মানে তো বিন্দু বিন্দু তরলিত প্রাণ!
কবি বললেন ' জল দাও '—
দিয়েছিল যুবতী আকণ্ঠ তৃষ্ণা মেটাতে জল,
দু 'হাত উপচে পড়লো ভূমিতে
ফোঁটায় ফোঁটায় জল তৃষ্ণার শান্তি!
উষর মৃত্তিকা ভিজে নরম হলো
তার বুক ভেদ করে আস্তে আস্তে মাথা তুললো
কচি এক আদিম প্রাণ সোজা সূর্যমুখী হয়ে
আর জলপানে তৃপ্ত কবি ধীরে আলো কণায় বিগলিত হলেন
মিশে গেলেন অলৌকিক বৃক্ষ শিশুর অস্তিত্বে।
ক্রমে তার শাখাবাহু ব্যাকুল হলো
হে তমসার হরণকারী সর্বপ্রাণের স্রষ্টা ও রক্ষক
সদা জ্যোতির্ময় সূর্যদেবকে অন্তরে পেতে চাইলো !
' আমি বোধিবৃক্ষ হতে চাই !'
বোধিবৃক্ষ কবি উচ্চারণ করলেন,
'আলো চাই প্রাণ চাই চাই মুক্ত বায়ু '।
সহসা হেসে উঠলো আকাশ
বৃক্ষ সবুজের আন্দোলনে ছড়ালো আনন্দ,
বৃক্ষকবি লিখে ফেললেন জীবনের ইতিহাস !
কাজরী,
২৯ জুন, ২০১৬
0 comments: