লেখা-লেখি

আলোকিত কবি "কবি সুনীতি দেবনাথ" : মারিয়া কারোলিনা দে হেসুস

৫:৫২:০০ PM 0 Comments




























 রুবেল পারভেজ

  ত্রিশোত্তর বাংলা কবিতায় বৈরী সময়ের ভেলায় চড়ে শতাব্দী পাড়ি দিয়েও মানবীয় অনুভবের এই তীব্রতার অবসান যে হয়নি সাম্প্রতিক সময়ের অনেক বিশিষ্ট বাঙালি কবির এই চৈতন্য ও দোলাচলতার মতো কবি সুনীতি দেবনাথকেও আন্দোলিত ও বিচলিত করেছে।

  যুদ্ধোত্তর পৃথিবী নৈরাশ্য নাস্তি ও লিবিডো ভিয়েনে জারিত বিমূর্ত শিল্পচর্চার গোলক ধাঁধায়
মুক্তিকামী মানুষের আশা- আকাঙক্ষাকে পদদলিত করে ব্যক্তিগত সামাজিক ও রাষ্ট্রীক জীবনে এক ধরনের দুর্গতি ও অসহায়ত্বকে মানব ভাগ্য বলে চালানোর দুরভিসন্ধি থেকে আধুনিক কবিতার যাত্রা শুরু হয়েছিল এ কথা আজ অস্বীকার করার উপায় নেই।ইউরোপজাত সুররিয়ালিজম, এক্সপ্রেশনিজম, ইমপ্রেশনিজম, কিউবিজম, সিম্বলিজম, দাদাইজম,ডারউইনিজম,হেগেলিয় দর্শন ও
ফ্রয়োডিও ইজম প্রভৃতি মতবাদ শিল্প- সাহিত্যের অঙ্গন থেকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দিয়ে এক ধরনের বেলেল্লাপনাকেই শুধু প্রশ্রয় দেয়।এর ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। জীবন-সংগ্রামে নিরত মানুষের কঠোর নিষ্ঠা সমস্যা সংকট উত্তরণে জীবনবাজি প্রচেষ্টা অত্যাচার ও নির্যাতনকে রুখে দিয়ে সুন্দর জীবনের আকাঙক্ষা প্রতিনিয়তই মানুষকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। অন্যদিকে বিবেক বর্জিত মানবরূপী দানবের অট্রহাসি বারবারই মানুষের এই সুকুমার অনুভূতিকে স্তিমিত করে দিচ্ছে। জীবন- সংগ্রামে উজ্জীবিত কবি সুনীতি দেবনাথ ও এই বাস্তবতার মুখোমুখি।সংকট থেকে উত্তরণ চান কিন্তু নিষ্ঠুর বাস্তবতা তাকে বারবারই থামিয়ে দেয়।তবু তিনি আলোর প্রত্যাশা ছাড়েন না। জীবনবাদী কবি ব্যর্থতাকে স্বীকার করেন না।

   কবি সুনীতি দেবনাথের 'মারিয়া কারোলিনা দে হেসুস' কবিতাটি তাঁর এক কালজয়ী সৃষ্টি।ব্রাজিলে
আস্তাকুঁড়ে জন্ম নেওয়া লেখিকা মারিয়া কারোলিনা দে হেসুস এর জীবনের উত্থান-পতনের বাস্তবিক ঘটনা নিয়ে রচিত এই কবিতাটি।একজন মানুষের জীবনের নির্মম পরিণতির কথা কবির কলমের আঁচড়ে নিপুণভাবে ফুটে উঠেছে।

নোংরা দুর্গন্ধমাখা আবর্জনার স্তুপ, 
সেটাকে ঘিরে শকুনিরা কর্কশ চিৎকারে 
আকাশটাকে করছিল ফালাফালা। 
ওখানেই প্রাণের উদ্ভাসে জন্মেছিল শিশুটি- 
অন্ধকারে সেই মানব শিশুটি গাঢ়তর অন্ধকারকে 
উপভোগ করার জন্যই জন্মেছিল।
তাই প্রথম দু’চোখ মেলে যখন সে তাকালো-
প্রথম সে দৃষ্টিপাতে বোধের জগতে তোলপাড়
পৃথিবী এমনি হয় নোংরা পুঁতিগন্ধময়
আঁধার আকাশে মোড়া, হয়তো জেনে গিয়েছিল সে।
আহা! ফুলের মত পবিত্র শিশুটি -
ব্রাজিলের সেই সিণ্ডেরেলা বিশ্বের বিস্ময়কর পণ্যদ্রব্য!
প্রথম চোখ মেলে তাকালেন
মারিয়া কারোলিনা দে হেসুস!
শকুনির ভীড়ে এক স্পন্দিত জীবন!

  নোংরা দুর্গন্ধময় একটা অাবর্জনার স্তুপ ঘিরে শকুনির চিৎকার আর চারপাশে গাঢ় অন্ধকার।সেই অাবর্জনায় ঘেরা অন্ধকারে প্রথম চোখ মেলে তাকালেন মারিয়া কারোলিনা দে হেসুস।আর তাকাতেই নিজেকে আবিষ্কার করলেন অন্ধকার, দুর্গন্ধময়,শকুনির চিৎকারে তোলপাড় করা এক নষ্ট পৃথিবীতে।

তারপর দিন গেল রাত গেল ক্রমাগত এলোগেলো।
কিভাবে দিন রাতের পারাপার হল-
খবর জানেনা কেউ,খবর রাখেনি কেউ,
ব্রাজিলের লাখো শিশুর দিন রাত এমনিই ছিল।
তবে সবাই জানে অনেক দুঃখ বেদনার পথ হেঁটে
মারিয়া আরও গভীর প্রাপ্তির জন্য
আরও কঠোর শ্রমদানের জন্য বেঁচে চললেন,
বেড়েও উঠলেন,মারিয়া একদিন যুবতী হলেন।
একদিন এক পুরুষের সাথে তাঁর ভালবাসাবাসি হল
সন্তানের জন্ম দিয়ে মারিয়া জননীও হলেন-
অবিরত শ্রম আর দুঃখের সহবাসে তিনি এক নারীও হলেন।

  তারপর কত দিন রাত চলে গেলো কেউ খবর রাখেনি,হয়তো কেউ খবর রাখেও না। দারিদ্রের নির্মম কষাঘাতে জর্জরিত ব্রাজিলের মানুষ। অনেক কষ্টে সৃষ্টে মারিয়া যাপিত জীবনের দুঃখের বোঝা বয়ে চললেন।হয়তো কোন গভীর প্রাপ্তির দিকে তাঁর গন্তব্য।একদিন তিনি যুবতী হলেন,তারপর কোন এক পুরুষের সাথে ভালোবাসাবাসি হল, তারপর বিয়ে হলো।জীবন ও জৈবিক নীপিড়নে সন্তানের জন্ম
দিয়ে মারিয়া একজন নারী হয়ে উঠলেন।

সারাটা দিন কাজ আর কাজ চলমান এক কাজের চাকা
সারাটা রাত নিবিড় নিখাদ দুঃখের বুননে কালো
এরি মাঝে বেঁচে থাকে ব্রাজিলের অগুন্তি নারী-
মারিয়াও বেঁচে ছিলেন, বাঁচার ফাঁকে ফাঁকে আঁকাবাঁকা ছাঁদে
অক্ষরে অক্ষরে যন্ত্রণাদগ্ধ মনের কথাগুলি
দিনলিপির পাতায় পাতায় উপুড় করে ঢেলে দিয়েছিলেন,
কালো পৃথিবীর নারীর বেদনায় উপলব্ধ কোমল- গান্ধার!
একদিন এক আকস্মিক ক্ষণে এক সাংবাদিক
পেলেন সেই দিনলিপি পড়লেন বিমুগ্ধ হলেন
বুঝে গেলেন এ নারীর গহন মনের খনি পূর্ণ কালো সোনায়।
‘কুয়ারতো দে দেসপেহো’ – ‘চাইল্ড অফ দি ডার্ক’
১৯৬২ সালে প্রকাশিত হল, আর থামা নেই
ব্রাজিলের আস্তাকুঁড়- কন্যা হলেন লেখিকা।

  সারাদিন অমানসিক খাঁটুনি সহ্য করে ব্রাজিলের অগুন্তি নারীর মত তিনি ও প্রচণ্ড পরিশ্রম করে বেঁচে চললেন সমস্ত দিন রাত।এরই ফাঁকে ফাঁকে মারিয়া ডায়েরীর পাতায় তাঁর অসহ্য জীবন যাপনের কথা লিখে রাখতেন।একদিন এক সাংবাদিক আবিষ্কার করলেন মারিয়ার ডায়েরী। ডায়েরী পড়ে সাংবাদিক মুগ্ধ হলেন।তারই সহযোগিতায় ১৯৬২ সালে 'কুয়ারতো দে দেসপেহো'-' চাইল্ড অফ দি ডার্ক' প্রকাশিত হলো।তারপর আস্তাকুঁড়ে জন্ম নেওয়া কুৎসিত নারী হয়ে উঠলেন লেখিকা।

সারা দুনিয়া তাজ্জব একী অপরূপ সৃষ্টির সম্ভার!
জীবনের টাটকা গন্ধমাখা, বিলাসী বিদগ্ধ জীবন নয়,
‘লা ফাবেলা’- ‘ঝুপড়ি’-র বাস্তব জান্তব জীবন আর
‘সাওপাওলোর নোংরা বস্তির পাঁচ বছরের ডায়েরি’ –
কষ্টকল্পিত কৃত্রিম সৃষ্টির আবর্জনা মাত্র নয়,
দেখে দুইচোখে অনুভবে জেনে সত্যি বেঁচে থেকে 
শাশ্বত মানুষের সাহিত্যে নিচে থাকা ধুঁকে ধুঁকে বাঁচা
অগনিত মানুষের অতলান্ত বেদনার অফুরান কথামালা-
চমকে উঠল তথাকথিত আঁতেল শিল্পের সমঝদারগণ।

  সারা দুনিয়া অবাক হয়ে গেলো মারিয়ার সাওপাওলোর নোংরা বস্তিতে লেখা পাঁচ বছরের ডায়েরী অগণিত মানুষের অফুরন্ত দুঃখের কথামালা দেখে চমকে উঠলেন আঁতেল শিল্পের সমঝদারগণ।

আস্তাকুঁড় থেকে বস্তি – বিদগ্ধসমাজ বেমানান 
এ এক অলৌকিক জাদুকরের যেন জাদুকাঠির ভেল্কিবাজি! 
রাতারাতি পৃথিবীর চল্লিশটা দেশের মানুষ 
মারিয়া কারোলিনার বিচিত্র কথামালার বিমুগ্ধ পাঠক 
উলট- পালট এই উত্থানে তেরটি ভাষায় অনুবাদও হল 
জীবনের সত্য অভিজ্ঞতার চরম পরম বেদনার্ত উচ্চারণ!

  রাতারাতি পৃথিবীর চল্লিশটি দেশের মানুষ মারিয়ার লেখার বিমুগ্ধ পাঠক বনে গেলেন। তেরটি ভাষায় অনুবাদও হলো তাঁর জীবনের দীর্ঘ যন্ত্রণার কথা মালা।সবার কাছে তিনি অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী এক জাদুকরী লেখিকা হয়ে উঠলেন।

এবার পরিভ্রমণ বিশ্বজোড়া মহাযাত্রা 
সিণ্ডেরেলার পণ্য হবার চটকদার জীবন। 
পৃথিবীর অসংখ্য পথে মাত্র ক’বছরের আশ্চর্য্য ভ্রমণ 
সম্বর্ধনা সাক্ষাতকারের হুল্লোড় ফ্ল্যাশের জ্বলে ওঠা নেভা 
ক্লিক্ ক্লিক্ কত, নোংরাঘাটা হাত দু’টি তাঁর 
নন্দিত হল বন্দিত হল অভিনন্দন আর পুরস্কারে।
সম্ভ্রান্ত ভদ্রমহোদয়গণ আমন্ত্রণ ভোজে সঙ্গী পেয়ে
ধন্য হলেন, বলা কি সঠিক নয় ধন্য করলেন?
তাবড় তাবড় রাষ্ট্রনায়কগণ বিশ্বের দিলেন অভ্যর্থনা-
অভিনন্দনে আস্তাকুঁড়ের মারিয়া নন্দনকানন বাসিনী।
বিশ্বদরবারে খ্যাতির শীর্ষে তখন মারিয়া কারোলিনা দে হেসুস।
‘মনুষ্য শরীরে ডিনামাইট হল ক্ষুধা’-
‘এল আমব্রে এস লা দিনামিতা দেল কুয়ের পো উমানো’ –
ক্ষুধার এমন আগুনজ্বলা জ্বালাময়ী ধ্রুব উচ্চারণ
কোনও কবি বা লেখক কোনদিনই কি করেছিলেন ?
কোনও ক্ষুধার্ত মানুষও তার জীবনের স্পষ্ট সত্যকে এমনি
উচ্চারিত হতে শোনেনি কোনদিন- অনবদ্য গ্রন্থের অভিনব কথা!

  সিণ্ডেরেলার পণ্য হবার মত চটকদার জীবন শুরু হয়ে গেলো মারিয়ার।শুরু হলো তাঁর বিশ্ব পরিভ্রমণ।মারিয়ার জীবন কয়েক বছরেই আলোকিত হয়ে উঠলো।চারিদিকে শুরু হলো সম্বর্ধনা আর সাক্ষাতকারের হুল্লোড়। বিশ্বের রাষ্ট্রনায়কগণ তাঁকে অভ্যর্থনা দিলেন, এমনকি অনেক সম্ভ্রান্ত ভদ্র মহোদয়গণ আমন্ত্রণ ভোজে একজন নামী দামী লেখিকাকে সঙ্গে পেয়ে ধন্য হলেন।ক্ষুধার জ্বালাময়ী উচ্চারণ বাঙময় হয়ে উঠেছিল তাঁর লেখনীতে।কোন কবি বা লেখক তাঁর জীবনের চরম সত্যকে এভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন কিনা সন্দেহ।

১৯৭৭সালের শুরুতে বিষণ্ণ রোববারের এক ধোঁয়াটে সকাল
দিনের সূর্য তখনো পুব আকাশে নরম লাল আলো ছিটোনো শুরু করেনি
সেদিনও এক আস্তাকুঁড় ঘিরে পালে পালে শকুনি ডানা ঝাপটাচ্ছিল
উল্লসিত কর্কশ এক বীভৎস কোরাসে তারা-
নোংরা ডাস্টবিন ঘিরে প্রমত্ত ওড়াওড়ি
এই আবহে মরে পড়েছিলেন এক ব্রাজিলিয়ান নারী
ওদেশের হাজার হাজার অতি সাধারণ নারীর মতন।
তিনি এক অনবদ্য সার্থক নারী অন্যের উচ্ছিষ্ট খুঁটে যিনি
ঘোষণা করেছিলেন অমোঘ সত্য-
তুচ্ছতার ঘেরাটোপে থেকেও তাঁর উঁচু মাথা ছুঁয়েছিল আকাশের উচ্চতা,
সৃষ্টির নিত্য সত্যাকাশে আলোর বিভাসে ধ্রুবতারার মতই
প্রতিষ্ঠা পাবার অধিকারী তিনি মারিয়া কারোলিনা দে হেসুস!

  ১৯৭৭ সালের এক রবিবারের ধোঁয়াটে সকালে নোংরা দুর্গন্ধময় আস্তাকুঁড় ঘিরে শকুনিরা একটি নারীর লাশ ঘিরে উল্লাস করছিল। ব্রাজিলের অসংখ্য হাজার হাজার নারীর মতই মরে পড়ে ছিলেন এক নারী।তুচ্ছতার দুর্গন্ধ আঁধারে থেকেও যার মাথা ছুঁয়েছিল আকাশের উচ্চতা,তিনি অনাদরে জন্মের প্রথম চিৎকারের মত সেই আস্তাকুঁড়েই মরে পড়ে রইলেন।তিনি আর কেউ নন,তিনি মারিয়া কারোলিনা দে হেসুস।

জীবনের ক্ষুদ্রতম খণ্ড অবসরে সমাদৃতা হবার কালেও
মহার্ঘ ভোজসভায় আপ্যায়ন কালেও স্বপ্নেরা তাঁর-
শ্রমদানকালে প্রতিদিন প্রতিটা দিন মেশিনের ঘাতক চাকায়
পিষ্ঠ হয়ে গড়পড়তা শত শ্রমিকের আহত- নিহত হওয়া,
আর জন্মলগ্ন থেকেই সার সার বোবা স্তব্ধ দৃষ্টির ভিখিরি শিশু
এসব কিছুকে ঘিরে থাকা হিংস্র শকুনির ভয়াল চক্কর,
আতঙ্কিত স্বপ্নদের নিয়ে সুখ যাত্রায় কান্নার লহর বয়ে যেতো তাঁর।
নির্যাতিত ব্রাজিলের নির্যাতিতা নারী নির্যাতিত জীবনের ভাষ্যকার
শোষিতের একেবারে কাছে থেকে শোষিত জীবনে থেকে
কোনও একদিন হয়তো মুক্তি আসবেই স্বপ্ন দেখেছিলেন স্পষ্ট,
স্বপ্নদ্রষ্টা সেই নারী সকলকে স্বপ্ন দেখিয়ে আস্তাকুঁড়েই মরে গেলেন।
আজ কোন মুগ্ধ পাঠক বা স্তাবক পুষ্পগুচ্ছ হাতে এলোনা-
আজ প্রগাঢ় সন্তাপে কোন বিষাদ- মেদুর বিদায়ী ভায়োলিন বাজলোনা।

  যে নারী একদিন আস্তাকুঁড়ে জন্মেও স্বপ্ন দেখেছিলেন নির্যাতিত ব্রাজিলের মানুষেরা একদিন শোষিত জীবন থেকে মুক্তি পাবে।স্বপ্নদ্রষ্টা সেই নারী সকলকে স্বপ্ন দেখিয়ে আস্তাকুঁড়েই মরে পড়ে রইলেন।এত যশ ও খ্যাতির চূড়ায় উঠা একজন মানুষের কি নির্মম এই মৃত্যু,বড় কষ্টের , অসহ্য যন্ত্রণার।তাঁর মৃত্যুর পর কোন মুগ্ধ পাঠক বা স্তাবক পুষ্পগুচ্ছ হাতে এলো না।তাঁর মৃত্যুতে প্রগাঢ় সন্তাপে কোন বিষাদ মেদুর বিদায়ী ভায়োলিন বাজলোনা।কী আশ্চর্য এই পৃথিবীর মানুষ।কি বেদনার্ত এই মৃত্যু,পলকে সবকিছুকে নেই করে দেয়। মারিয়ার জীবনের এই কাহিনী পড়ে কারও চোখের জল ধরে রাখা সম্ভব নয়।আমি এই কবিতাটি পড়ে বহুবার চোখের জল ফেলেছি। কবি সুনীতি দেবনাথ রহস্যঘেরা এই পৃথিবীতে নিজেই যেন মারিয়া হয়ে উঠেছেন।এ যেন তাঁর নিজের জীবনেরই বেদনার্ত আখ্যান।তিনি অপূর্ব মমতায় মারিয়া কারোলিনা দে হেসুসের জীবনের করুণ পরিণতির কথা বর্ণনা করেছেন।কবি সুনীতি দেবনাথ তাঁর কালজয়ী সৃষ্টি দিয়ে অমর হয়ে থাকবেন।তাঁর সুখী,সত্য,সুন্দর, সাবলীল ও দীর্ঘ জীবন কামনা করি।

SUNITI Debnath

আমি সুনীতি দেবনাথ, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি শিক্ষিকা। কবিতা, প্রবন্ধ ও ছোটগল্প লিখি। কবিতা আমার প্রিয়ভূমি, শৈশব থেকেই হেঁটে চলেছি...

0 comments: