জাহাজী
© সুনীতি দেবনাথ
মৃদু ছন্দে নত মস্তকে সে চলে যাচ্ছে
পেছনে বিশাল অরণ্য এপাশে খরতোয়া নদী
সুদূর থেকে ভেসে আসছে সামুদ্রিক গর্জন
জ্যোৎস্নার ভাঁজে ভাঁজে
এলোমেলো পায়ে সে যাচ্ছে
আমি বলি যাওয়াটা যখন নিশ্চিত
দৃপ্ত পায়ে উন্নত মস্তিষ্কে যাও
তোমার বুকে কি শক্তির আধার নেই
গন্তব্য কোথায় তাও কি অজানা
বিশ্বাস করিনা মোটে
জ্যোৎস্নার সমুদ্র পেরিয়ে
প্রদীপ্ত তুমি এগিয়ে যাও
অরণ্য পেরিয়ে নদীটি সাঁতরে
ওপারে চলে যাও পেছনে ফেরোনা
ঐ আকাশে ঝড়ের দাপট থাকুক না
জাহাজী তুমি
নোঙর তোলো ত্বরিৎ হাতে
ভয়াল ঢেউয়ের দোলায় দোলে
হাঙর কুমীরের হুমকি পেরিয়ে
ওপারে যাবে নতুন বন্দরে দেবে পাড়ি
এখানে এখন জল আছে শুধু
নেই জন কোলাহল
ঐ তো ওপারে বন্দর জনতার মত্ততা
এবার বিশ্রাম খানিকটা
ঝুপড়ি পাবেতে কষা মাংস ক পেগ উষ্ণ নেশা
রমণীর সতেজ দেহের উষ্ণতা তারপর
আবার জাহাজ আবার জল কোলাহল
আবার অসীমে যাত্রা
নারকেল গাছের ঝিরিঝিরি পাতা
জানায় বিদায় সম্ভাষণ
এইতো জাহাজী জীবন
এইতো একাকী জীবন
এই যদি হয় দৃপ্ত পায়ে
উন্নত শিরে কেন চলবে না
কাজরী,
২৮ অক্টোবর, ২০১৭
0 comments: