মুক্তগদ্য : নিরালা কবি
© সুনীতি দেবনাথ
সবকিছু ছিলো তবু কিছু নেই। রৌদ্রতপ্ত দিন রাতের নক্ষত্র সাজ বিরাট আঙিনা। নক্ষত্রেরা কথা বলে! কার সাথে? সেতো তুমি ছাড়া আর কেউ নয়! তোমার শব্দেরা হালকাপলকা, সারি বেঁধে কবিতার পংক্তিতে বসে গেলে কী কঠিন কঠোর। তোমাকে কেউ বুঝেনা, বুঝতে পারে না, এমনকি হয়তো তোমার ঈশ্বরীও বুঝেননি । তুমি একক নারীর. প্রেম চেয়েছিলে! আহা! সকলি গরল ভেল। নারী বিষে জর্জরিত তনুমন। সুকান্তের ক্ষুধার আকাশ, তোমার আকাশ বিষনীলিমায়। বড় ইন্ট্রোভার্ট তুমি, কেউ বুঝে না, তাই পাগল বলে। হয়তো একজন তোমার নাড়ীনক্ষত্র কিছুটা হলেও বুঝতে পারতেন। অগ্রজ তাঁর সাথে কিছুটা যেন তোমার মিলে যায়, আবার মেলেও না তিনি যেন জেনেশুনে একদিন সব রক্ত ঢেলে দিলেন ট্রামলাইনে। তোমাকে কেউ বলতো মার্কসবাদী কেউবা হাংরি। কফিহাউসে শান্ত তুমি হা হা হা অট্টহাসিতে ছাপানো কাগজগুলো শঙ্খ সেন বাহিনীর মুখে ছুঁড়ে কেমন তাকদ নিয়ে জানিয়ে দিলে এ্যাংগ্রি নও যদিও হাংরি নও। তবে কি তুমি মার্কসিস্ট? বাংলার মানচিত্রে ঢুকতে পাসপোর্ট? তুমি তো জানতে সারা পৃথিবীর একটাই মানচিত্র! দুনিয়ার মজদুর এক হও! তাও তো উচ্চারিত হতে দেখি না! জেলখান আটকাতে পারেনি তোমাকে। তুমি আসলে একক তুমি। সাদাসিধে তোমার চিত্রকল্পের জগৎ সমাধানের গাণিতিক কোন ফর্মুলা আজো মেলেনি। কফি হাউসের জমাটি আড্ডা, ঠাকুরনগরের আলপথ একক তোমার। ' ফিরে এসো চাকা', সোনার চাকা? শিমুলতলা ...কি নিঃস্বতা, তবু অন্তরতম মহাজ্যোতি, পরম শান্তির অবগাহন ... বাংলা সাহিত্যের নিরালা কবি বিনয় মজুমদার!
কাজরী,
৩১ মার্চ, ২০১৭
0 comments: