বাতিঘর
© সুনীতি দেবনাথ
বড় জটিল কুটিল এই পথ —
এ পথে হেঁটেছি বহুকাল আরো হাঁটতে হবে।
সাহারার ভয়াল ধুলিঝড় অন্ধ করে দেয়
পিরামিডের গোপন কুূঠুরির মমি হয়ে যাই
তুহিন এভারেস্ট এক ঝটকায় ছুঁড়ে ফেলে
আমাজনের স্যাঁতসেঁতে অরণ্য গহনে
সাইবেরীয় বিক্ষুদ্ধ তুষার ঝঞ্ঝার দাপটে
ভূমধ্যসাগরের অথৈ নীল জলে হাবুডুবু —
হাবুডুবু খেতে খেতে আরেক সারসত্য
বড় খোলামেলা হয়ে স্পষ্ট রূপে ধরা দেয়।
কবিতার পথে হেঁটে যেতে ভুঁইফোড় কিছু প্রাণী
মুখোশের আড়ালে থেকে পেছনে ছুরি মেরে দেয়
আত্মার বোধের বাণী দিন দুপুরে রাহাজানি হয়,
কবিতার লাশ পথে বেপথে শুইয়ে পিশাচের মত হাসে।
একটা বিবমিষা সারাটা অস্তিত্ব জুড়ে ঝড় তুলে
এ কী পৈশাচিক খেলা রক্তের আদিম রিরংসা!
কবি আর কবিতার লাশ পাশাপাশি শুয়ে
অসহায় বেদনায় যন্ত্রণায় নীল হয়ে যায়।
ভাবের ঘরে নষ্টামির চুরি চিরকাল চলে
জানি অবিনাশী চিরন্তন এক বাতিঘরও আছে।
কাজরী,
২৩সেপ্টেম্ববর, ২০১৫
0 comments: