আবার হলো দেখা
©সুনীতি দেবনাথ
দিনের শেষ চৌকাঠে সূর্যের পা সন্ধ্যাও প্রস্তুত
এক আকাশ খোলা চুল নিয়ে
দিনের সেই সন্ধিকালে তারা তিনজন এলো
আমরা চার নারী শেষ বিকেলে মুখোমুখি।
শৈশব কৈশোর যৌবনের কিছুকাল দাপাদাপি
হুড়োহুড়ি কথা বলাবলি প্রাণে প্রাণ মেশামেশি
সব শেষে পৃথিবীর চার দিগন্তে পাড়ি দিয়েছিলাম আমরা বহুদিন আগে।
এরপর বহুকাল গেলো ফিরে দেখা সংবাদের লেনদেন এসবের সময় মেলেনি। এখন এই সূর্যাস্তের গৈরিক প্রহরে কোন কেন্দ্রাতিগ্ শক্তির প্রবল আকর্ষণে এক ভরকেন্দ্রে চারজন একে অপরের মুখোমুখি
আবার সেই পুরাতনী গীত ধুলোয় ধুসরিত হওয়া ব্যস্ততার দেখানেপনা যেন আনন্দের সৈকতে ঝিনুক কুড়োনোর খেলা দেখানো হলো , যেন পুরাতনী সেই ভালবাসা অক্ষত বুকের মাঝখানে। ভাঙ্গনের কোন দাগ নেই।
এই প্রান্তে এসে আমাদের ভেতর মহলের সব কান্না উথাল পাথাল হাসির মুখোশ পরে নিল। কোন নতুন কথা হলোনা বলাবলিও হলোনা
অজানা কাহিনী তবু অশ্রুতপূর্ব ভাষায় শোনা
হয়ে গেল অলৌকিক শব্দমালায় সকলের সব কথা। আমরা জানিনা কোন মহাপ্রলয়ে পুরোনো সেই. আমাদের পৃথিবী ধ্বংস হয়েছে।
জানি কোন নারীই আপনার পৃথিবী হারিয়ে
নতুন পৃথিবীর অধীশ্বরী হতে পারেনা যে স্বপ্নযাত্রায় অভিলাষ থাকে আরেক পৃথিবী সাজানোর হায় সেখানে উদ্বাস্তু মাত্র সে
।
উদ্বাস্তুর কোন পৃথিবী আছে কি বিশ্বস্ত ভূমি?
তবুও প্রতি পদক্ষেপে বিশ্বস্ততার প্রমাণ দিতে হয়, স্বাধীনতা সংকুচিত পৃথিবী অপহৃত পায়ের তলায় মাটি টলমল। পরাধীনতার
পিঞ্জিরায় স্বাধীনতা ছটফট কাঁদে । বুকে চেপে ভাষা চোখে চেপে জল মুখে টেনে হাসি
যান্ত্রিক সংসারে নারী রোবটিক চলাচল করে ।
প্রান্তিকের মৃত আলোয় মুখোমুখি চার নারী
অনুভব করে নিলাম নতুন উপলব্ধির স্পর্শে স্পন্দিত হয়ে পুরাতন সত্যকে নতুন করে
জেনে নিলাম
সমৃদ্ধ অগ্রগামী সভ্যতার একুশ শতকেও নারী পরাধীন একেবারে পরাধীন।
কাজরী,
২০১৩
0 comments: