কবিতা না অকবিতা
কবিতা না অকবিতা
সুনীতি দেবনাথ
ছোট্ট ছন বাঁশের ঘর। নড়বড়ে। ঠিক সামনে বিশাল এক লালমাটির ঢিপি দম বন্ধ করা। পেছনে বয়োবৃদ্ধ সুদীর্ঘকালের স্তব্ধ এক চাম কাঁঠালের গাছ। বামপাশে উদাস উদাস মূলিবাঁশের ঝাড়। শনশন হাওয়ায় বৃদ্ধ পাতারা এলোমেলো উড়ছে। একা এক বহুকাল পুরোনো আমগাছ এখনো পোয়াতি হয় ফিবছর সময়কালে, ভারি স্বাদিষ্ট আম । ওপাশে একটি জলের কুঁয়ো নবনির্মিত, এই এক বাড়ি। এখানে নড়বড়ে ঘরে ছন্নছাড়া এক জীবনছবি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। ওপাশে হু হু করা মন কেমন করা নিয়ে ধু ধু করা এক মাঠ। টিলার উপর দিয়ে এলোমেলো পায়ে চলা পথের নিশানা কোন দূরান্তে পাড়ি জমিয়েছে বিষাদের নীলিমায়। চলছে জীবন চলছে না, হাঁটছে মানুষ হাঁটছে না। দুুপুর ঢলে পড়লে ভাগ্যহত এক পুরুষ কোদাল ঝুড়ি নিয়ে মাটির ঢিবির সাথে সন্ধ্যে অবধি অবিরাম যুদ্ধে নামে। ঢিবিটাকে খতম করতেই হবে। বাড়ির উঠোন বানাতে হবে। ছিরিছাঁদ আনতে হবে বাড়িটার। খালি গা কেবল প্যান্টি পরা ছোট্ট মেয়ে ছোট্ট ঝুড়ি নিয়ে আসে। মাটি ভরে দেয় বাবা, মেয়ে টলমল পায়ে হেঁটে মাথায় মাটির ঝুড়ি, পাশের খাদে ফেলে আসে। চলতে থাকে যতক্ষণ সন্ধ্যের আবছা আলো লুকোচুরি খেলে। তারপর? ঘরের সামনে চাটাই পেতে বসে বাবা, মা আর এক বছরের ছোটবোন সহ মেয়েটি। টিমটিম জ্বলে একটা কুপি, ঝোঁপঝাড়ে হাজার জোনাকি, আকাশে মিটমিট কত তারা! এটা কি একটা কবিতা হলো? জীবন্ত জীবনের অপরূপ রূপকথা! কবিতা হবে না কেন?
কাজরী,
১৩ জুন, ২০১৭
সুনীতি দেবনাথ
ছোট্ট ছন বাঁশের ঘর। নড়বড়ে। ঠিক সামনে বিশাল এক লালমাটির ঢিপি দম বন্ধ করা। পেছনে বয়োবৃদ্ধ সুদীর্ঘকালের স্তব্ধ এক চাম কাঁঠালের গাছ। বামপাশে উদাস উদাস মূলিবাঁশের ঝাড়। শনশন হাওয়ায় বৃদ্ধ পাতারা এলোমেলো উড়ছে। একা এক বহুকাল পুরোনো আমগাছ এখনো পোয়াতি হয় ফিবছর সময়কালে, ভারি স্বাদিষ্ট আম । ওপাশে একটি জলের কুঁয়ো নবনির্মিত, এই এক বাড়ি। এখানে নড়বড়ে ঘরে ছন্নছাড়া এক জীবনছবি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলে। ওপাশে হু হু করা মন কেমন করা নিয়ে ধু ধু করা এক মাঠ। টিলার উপর দিয়ে এলোমেলো পায়ে চলা পথের নিশানা কোন দূরান্তে পাড়ি জমিয়েছে বিষাদের নীলিমায়। চলছে জীবন চলছে না, হাঁটছে মানুষ হাঁটছে না। দুুপুর ঢলে পড়লে ভাগ্যহত এক পুরুষ কোদাল ঝুড়ি নিয়ে মাটির ঢিবির সাথে সন্ধ্যে অবধি অবিরাম যুদ্ধে নামে। ঢিবিটাকে খতম করতেই হবে। বাড়ির উঠোন বানাতে হবে। ছিরিছাঁদ আনতে হবে বাড়িটার। খালি গা কেবল প্যান্টি পরা ছোট্ট মেয়ে ছোট্ট ঝুড়ি নিয়ে আসে। মাটি ভরে দেয় বাবা, মেয়ে টলমল পায়ে হেঁটে মাথায় মাটির ঝুড়ি, পাশের খাদে ফেলে আসে। চলতে থাকে যতক্ষণ সন্ধ্যের আবছা আলো লুকোচুরি খেলে। তারপর? ঘরের সামনে চাটাই পেতে বসে বাবা, মা আর এক বছরের ছোটবোন সহ মেয়েটি। টিমটিম জ্বলে একটা কুপি, ঝোঁপঝাড়ে হাজার জোনাকি, আকাশে মিটমিট কত তারা! এটা কি একটা কবিতা হলো? জীবন্ত জীবনের অপরূপ রূপকথা! কবিতা হবে না কেন?
কাজরী,
১৩ জুন, ২০১৭
0 comments: